যারা কিডনি রোগে আক্রান্ত তাদের খাওয়া দাওয়ার সুনিদৃষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে । কিডনি রোগীদের স্বাভাবিক জীবন যাপন করার ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হয় । যেহেতু, কিডনি একবার আক্রান্ত হলে পরিপূর্ণ সুস্থ্য হয়না সেহেতু নিয়মিত ডাক্তারের ফলোআপে থাকতে হয় । সেই সাথে খাবারের রুটিন মেনে চলতে হয় । আজকে আমরা জানবো কিডনি রুগি কি খাবেন আর কি খাবেন না ।
যে সব ফল খাওয়া যাবে :
পেয়ারা/আপেল- ১টা অথবা পেঁপে- ২/৪ স্লাইস অথবা নাসপাতি , বেল ,আনারস দৈনিক ৫০-১০০গ্রাম ।
যে কোন একটি ফল নির্দিষ্ট মাত্রায় খাওয়া যাবে ।
যে সবজি ইচ্ছামতো খাওয়া যাবে :
ডাটা , লাউ , ঝিঙ্গা , চিচিঙ্গা , করলা , পটল , পেঁপে , ধুন্দল , শশা , চালকুমড়া , সাজনা , মিষ্টি কুমড়া , সিম বিচি ছাড়া ।
আরো পড়ুন হজমশক্তি বাড়ানোর উপায় : কি খেলে হজমশক্তি বাড়ে
যে সবজি খাওয়া যাবে না :
ফুলকপি , বাধাকপি , গাজর , ঢেড়স , বরবটি , কাঠালের বিচি , সিমের বিচি , মিষ্টি কুমড়ার বিচি , কচু , মুলা , কলার বিচি ।
যে সব সবজি সিদ্ধ করে পানি ফেলে রান্না করতে হবে :
আলু , কাচা কলা , পেঁপে , ডাটা শাক , নটে শাক , সজনে , কলার মোচা , টমেটো ।
যে সব শাক ইচ্ছা মতো খেতে পারবেন :
ডাটা শাক , লাল শাক , কলমি শাক হেলেঞ্চা শাক ।
যে সব শাক খাওয়া যাবে না :
পালং শাক , পুইশাক , মুলাশাক ।
ডাল : যে কোন ডাল বা মটরশুটি খাওয়া যাবে না ।
উচ্চ ইউরিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার খাবেন না । যেমন :
গরু , খাসি , কলিজা , কিডনি , মগজ , হাসের মাংস , চিংড়ি মাছ , মাছের ডিম , সামুদ্রিক মাছ , শুটকি , ঘন ডাল , ফুলকপি , পালংশাক , কচু , পুঁইশাক , বেগুন ।
অন্যান্য :
ইচ্ছামতো সালাদ খাবেন না , ডাব খাবেন না , শুকনো এবং টিনজাত ফল খাবেন না । কোন প্রকার আচার/চাটনী খাবেন না , কোমল পানীয় এনার্জি ড্রিঙ্কস পান করবেন না । তেল : ৩০গ্রাম (৫-৬ চা চামচ) ,লবন :২.৫গ্রাম (আধা চা চামচ ) ।
জেনে রাখা ভাল : ১কাপ = ২০০ মিলি , ১টেবিল চামচ =৫গ্রাম ।
নিয়মিত ডায়ালাসিসের রোগীদের জন্য নির্দেশিকা :
দৈনিক পানি খাবেন ৭৫০-১২০০মিলি (পরিস্থিতি অনুযায়ী )
খাবারে কাঁচা লবন খাবেন না ।
খাবারের আমিষের মাত্রা বাড়াতে হবে ।
আরো পড়ুন কিডনি সুস্থ্য রাখার সহজ কিছু উপায়