Image default
জীবনী

ফররুখ আহমদের সংক্ষিপ্ত জীবনী

ফররুখ আহমদের সংক্ষিপ্ত জীবনী

কবি, শিশুসাহিত্যিক ফররুখ আহমদ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবি । ফররুখ আহমদ মুসলিম রেনেসাঁর কবি হিসেবে পরিচিত । কারণ, তার কবিতা তৎকালীন বাংলার অধঃপতিত মুসলিম সমাজের পুনর্জাগরণের সৃষ্টি করে । কবি ফররুখ আহমদ ইসলামি ভাবধারার কবি হলেও তার কবিতা সকল শ্রেনীর মানুষের কাছে ব্যাপক সমাদৃত হয় । তিনি ‘পাখির বাসা’ গ্রন্থের জন্য ইউনেস্কো পুরস্কার লাভ করেন ।

ফররুখ আহমদের সংক্ষিপ্ত জীবনী

একনজরে
 

জন্ম

১০ জুন ১৯১৮

মাঝাইল, শ্রীপুর, মাগুরা,

পেশাকবি, সম্পাদক, বেতার শিল্পী
জাতীয়তাবাংলাদেশি
 

নাগরিকত্ব

ব্রিটিশ ভারতীয় (১৯১৮-১৯৪৭)

পাকিস্তানি (১৯৪৭-১৯৭১)

বাংলাদেশী (১৯৭১-১৯৭৪)

 

 

উল্লেখযোগ্য রচনাবলি

সাত সাগরের মাঝি

সিরাজাম মুনীরা

হাতেম তায়ী

মুহূর্তের কবিতা

 

 

উল্লেখযোগ্য পুরস্কার

বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬০),

একুশে পদক (১৯৭৭),

স্বাধীনতা পদক (১৯৮০)

 

মৃত্যু১৯ অক্টোবর ১৯৭৪ (বয়স ৫৬)

ঢাকা, বাংলাদেশ

 

জন্ম
forrukh-ahmed-4.jpg
যুবক বয়সে কবি ফররুখ আহমদ ছবি – সংগ্রহীত

কবি ফররুখ আহমদ ১৯১৮ সালে  মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাঝাইল গ্রামে সৈয়দ বংশে জন্মগ্রহন করেন । তার বাবার নাম ছিল সৈয়দ হাতেম আলী । ফররুখ আহমদের মায়ের নাম ছিল রওশন আখতার ।

শিক্ষাজীবন

কবি ফররুখ আহমদ খুলনা জিলা স্কুল থেকে ১৯৩৭ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন । এরপর উচ্চমাধ্যমিকে অধ্যায়নের জন্য কলকাতায় গমন করেন ।   কলকাতার রিপন কলেজ থেকে ১৯৩৯ সালে আই.এ. পাস করেন । এরপর কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে দর্শন এবং ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন । কিন্তু পড়া শেষ না করেই কর্মজীবনে প্রবেশ করেন ।

কর্মজীবন
forrukh-ahmed-3.jpg
কর্মব্যস্ত কবি ফররুখ আহমদ ছবি – সংগ্রহীত

ফররুখ আহমদ ১৯৪৩ সালে কলকাতার  আই.জি.প্রিজন অফিসে, ১৯৪৪ সালে সিভিল সাপ্লাইতে এবং ১৯৪৬ সালে জলপাইগুড়িতে একটি ফার্মে চাকরি করেন । ১৯৪৫ সালে তিনি মাসিক মোহাম্মদীর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন ।  দেশ বিভাগের পর ১৯৪৮ সালে ফররুখ আহমদ কলকাতা থেকে ঢাকায় চলে আসেন, এবং  ঢাকা বেতারে যোগ দেন । এখানে তিনি ১৯৭২ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন ।

আরো পড়ুন

কাজী নজরুল ইসলামের সংক্ষিপ্ত জীবনী
সাহিত্যকর্ম

ফররুখ আহমদের প্রধান পরিচয় তিনি ‘কবি’ । তবে সাহিত্যের নানা শাখায়  তার বিচারন ছিল । তার রচনায় ধর্মীয় ভাবধারার প্রভাব ছিল । এছাড়া আরবি ও ফারসি শব্দের প্রাচুর্য তার লেখার অন্যতম বৈশিষ্ট্য । ইসলামি ঐতিহ্যের প্রতি ছিল তার অগাধ আস্থা ।

 

কাব্যগ্রন্থ

সাত সাগরের মাঝি (ডিসেম্বর, ১৯৪৪)

সিরাজাম মুনীরা (সেপ্টেম্বর, ১৯৫২)

নৌফেল ও হাতেম (জুন, ১৯৬১)-কাব্যনাট্য

মুহূর্তের কবিতা (সেপ্টেম্বর, ১৯৬৩)

ধোলাই কাব্য (জানুয়ারি, ১৯৬৩)

হাতেম তায়ী (মে, ১৯৬৬)-কাহিনীকাব্য

নতুন লেখা (১৯৬৯)

কাফেলা (অগাস্ট, ১৯৮০)

হাবিদা মরুর কাহিনী (সেপ্টেম্বর, ১৯৮১)

সিন্দাবাদ (অক্টোবর, ১৯৮৩)

দিলরুবা (ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৪)

 

শিশুতোষ গ্রন্থ

পাখির বাসা (১৯৬৫)

হরফের ছড়া (১৯৭০)

চাঁদের আসর (১৯৭০)

ছড়ার আসর (১৯৭০)

ফুলের জলসা (ডিসেম্বর, ১৯৮৫)

forrukh-ahmed-2.jpg
কবি ফররুখ আহমদের কবিতা সমগ্র,  ছবি – সংগ্রহীত

 

পুরস্কার ও অর্জন

ফররুখ আহমদ  ১৯৬০ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। কবি ফররুখ আহমদ ১৯৬৫ সালে  প্রেসিডেন্ট পদক ”প্রাইড অব পারফরমেন্ “ লাভ করেন । সেই সাথে ১৯৬৬ সালে অর্জন করেন আদমজী সাহিত্য পুরস্কার ও ইউনেস্কো পুরস্কার । ১৯৭৭ ও ১৯৮০ সালে তাকে যথাক্রমে মরণোত্তর একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয় ।

মৃত্যু

কবি ফররুখ আহমদ ১৯৭৪ সালের ১৯ অক্টোবর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন ।

আরো পড়ুন

পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের সংক্ষিপ্ত জীবনী

 

Related posts

টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেন : টেলিভিশন আবিষ্কারের ইতিহাস

jibondharaa

জীবনানন্দ দাশের সংক্ষিপ্ত জীবনী

jibondharaa

মুনীর চৌধুরীর সংক্ষিপ্ত জীবনী

jibondharaa

Leave a Comment