Image default
জীবনী

আলবার্ট আইনস্টাইনের জীবনী

আলবার্ট আইনস্টাইনের জীবনী

আলবার্ট আইনস্টাইন ছিলেন একজন বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী । আইনস্টাইন আপেক্ষিকতা তত্ত্ব এবং ভর-শক্তির বিখ্যাত সমীকরণ সূত্র E = mc2 আবিষ্কারের জন্য বিশ্ব বিখ্যাত । এছাড়া আলবার্ট আইনস্টাইন তার জীবনে অনেক গবেষণা ও বিজ্ঞানের বিষয়ে বই লেখেন যার কারনে তার নাম ইতিহাসের পাতায় সুবর্ণ অক্ষরে লেখা রয়েছে । আইনস্টাইনকে শতাব্দীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান ব্যাক্তি এবং সবচেয়ে বুদ্ধিমান বিজ্ঞানীর আখ্যা দেওয়া হয়েছে । পদার্থবিজ্ঞানে তার অতুলনীয় অবদানের কারণে বর্তমান যুগে বিজ্ঞানের এতটা অগ্রগতি ঘটেছে । আজ আমরা সেই মহান বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের জীবনী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো ।

এক নজরে
নামআলবার্ট আইনস্টাইন
জন্ম১৪ মার্চ ১৮৭৯, উল্‌ম, জার্মানি
পিতা ও মাতাহিমার আইনস্টাইন (পিতা)

পলিন কোচ (মাতা)

দাম্পত্যসঙ্গীমিলেভা মেরিক (১৯০৩ সালে)

এলসা লভেন্থাল (১৯১৯ সালে) বিবাহ করেন

কর্মক্ষেত্রপদার্থবিজ্ঞান, দর্শন
উপাধি ও সম্মাননাপদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরষ্কার (১৯২১)
কোপলি পদক,
শতাব্দীর সেরা ব্যাক্তি,জিনিয়াস
 মৃত্যু১৯৫৫ সালের ১৮ এপ্রিল ৭৫ বছর বয়সে এই মহান বিজ্ঞানী পরলোক গমন করেন ।
আলবার্ট আইনস্টাইন এর সংক্ষিপ্ত জীবনী
আলবার্ট আইনস্টাইনের জন্ম

আলবার্ট আইনস্টাইন ১৮৭৯ সালের ১৪ মার্চ মাসে জার্মানির দক্ষিণে অবস্থিত উল্‌ম শহরে এক সমৃদ্ধ ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । আলবার্ট আইনস্টাইন ছিলেন সাধারণত একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে । আইনস্টাইনের পিতার নাম ছিল হেরমান আইনস্টাইন । যিনি ছিলেন একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির কারখানার মালিক। তার মাতার নাম ছিল পলিন আইনস্টাইন । যিনি একজন গৃহনী ছিলেন  । তিনি পরিবারের সমস্ত কাজকর্ম সামলাতেন । এছাড়া আইনস্টাইন এর ছোট একটা বোন ছিল, যার নাম ছিল মজা ।

আরো পড়ুন

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবনী
আলবার্ট আইনস্টাইনের বাল্যকাল

আলবার্ট আইনস্টাইন জার্মানির উল্‌ম শহরে জন্মগ্রহণ করলেও তার পিতার ব্যবসার কারনে উল্‌ম শহর ত্যাগ করে মিউনিখ শহরে চলে আসেন এবং সেখানে তিনি বেড়ে উঠেন । ছোটবেলা থেকেই অন্যান্য শিশুদের তুমনাই দুর্বল ছিলেন । এমন কি  তিনি ৯ বছর বয়স পর্যন্ত ঠিকমতো কথা বলতে পারতেন না । সেসব সত্ত্বেও তার মনে কৌতুহল কম ছিল না । যেকোনো যন্ত্র দেখলেই তার মনে বিষ্ময় হতো যে যন্ত্রটি কিভাবে কাজ করছে ।

ছোটবেলায় কেউ তার সাথে মিশতে চাইতো না । একারণে তার ক্লাস রুমে তিনি পিছনের বেঞ্চে একাই বসতেন । তার একমাত্র সঙ্গী ছিলেন তার মা । তিনি তার মা এর কাছ থেকে বেহালা বাদ্যযন্ত্র বাজানো শিখেছিলেন । সেই বয়সে তিনি কম্পাসের নিজে নিজে দিক পরিবর্তন দেখে বিস্মিত হতেন । এছাড়া তিনি জ্যামিতি ও ক্যালকুলাস এর প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন । তিনি খুব দ্রুত ক্যালকুলাসের প্রধান দুটি শাখা সমকালন ও অন্তরক ক্যালকুলাস আয়াত্ত্ব করে ফেলেন ।

যখন আলবার্ট আইনস্টাইনের দশ বছর হয় তখন তিনি একজন বিজ্ঞানের ছাত্রের কাছে পড়াশোনা করতেন । যিনি আইনস্টাইনকে আরো উচ্চতর গণিত এবং দর্শন এর ব্যাপারে শিক্ষা দিয়েছিলেন । এছাড়া ছোট থেকেই আলোর বিষয়ে তার মনে কৌতুহলের সৃষ্টি হয় । আলো কি, আলোর তরঙ্গের সাথে ভ্রমন করলে কি হবে? এই সব প্রশ্ন তার মনে চলতে থাকতো ।

আলবার্ট আইনস্টাইনের শিক্ষা জীবন

আলবার্ট আইনস্টাইনের ৫ বছর বয়সে সর্বপ্রথম প্রাথমিক শিক্ষার জন্য মিউনিখের ক্যাথলিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয় । কিন্তু সেই সময় তিনি স্কুলে যেতে পছন্দ করতেন না কারণ স্কুলে তার কোনো বন্ধু ছিল না । প্রায় সময় তিনি ক্লাসের শেষ বেঞ্চ বসে চিন্তা করতে থাকতেন, সেই কারনে তার বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাকে মানসিক দিক থেকে দুর্বল বলে তার মাতা পিতার কাছে অভিযোগ করেন ।

এরপর ৮ বছর বয়সে তাকে লুইটপোল্ড জিমনেসিয়ামে ভর্তি করা হয় । সেখান তিনি তার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকেন । ১৩ বছর বয়সে তিনি জ্যামিতি এবং কলকুলাস এর প্রতি আগ্রহী হলে উঠেন । তিনি খুব শীঘ্রই ক্যালকুলাসের প্রধান দুটি শাখা সমকালন ও অন্তরকাল কালকুলাস আয়াত্ত্ব করে ফেলেন ।

আরো পড়ুন

কাজী নজরুল ইসলামের  জীবনী

১৫ বছর বয়সেই তিনি খুব সহজেই গণিতের সবচেয়ে কঠিন সমস্যার সমাধান করতে পারতেন । আলবার্ট আইনস্টাইন ১৬ বছর বয়সে মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করেন।

আলবার্ট আইনস্টাইন সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে ভর্তি হওয়ার জন্য এন্ট্রান্স পরীক্ষা দেন, কিন্তু সেখানে ভর্তি পরীক্ষায় তিনি ব্যর্থ হন । তারপর তার অধ্যাপক তাকে পরামর্শ দেন যে সবার আগে তাকে সুইজারল্যান্ডের আউতে ‘ক্যান্টনাল স্কুল’ তে ডিপ্লোমা করা উচিত । তাহলে তিনি ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রবেশিকা পাবেন । আইনস্টাইন তার শিক্ষকের কথামতন কাজ করেন ও ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে ভর্তি হয়ে যান । আলবার্ট আইনস্টাইন ১৯০০ সালে ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন । পরবর্তীকালে ১৯০৫ সালে, ২৬ বছর বয়সে তিনি তার জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার Phd ডিগ্রি অর্জন করেন ।

আলবার্ট আইনস্টাইনের কর্মজীবন

স্নাতক পাস করার আলবার্ট আইনস্টাইনের পিতা তাকে একটি পেটেন্ট আফিসে কাজের ব্যবস্থা করে দেন । সেখানে তিনি প্রথমে একজন সহযোগি পরীক্ষকের কাজে নিয়োগ পেলেও পরবর্তীকালে তিনি সে পেটেন্ট আফিসে টেকনিক্যাল গবেষক এর পদে উন্নতি লাভ করতে সক্ষম হন ।

১৯০৫ সালে পেটেন্ট অফিসে কাজ করা কালীন সময়ে তিনি জার্মানিতে আয়োজিত একটি বিজ্ঞান সম্মেলনে তার গবেষণাপত্র গুলো প্রকাশ করেন । তার গবেষণাপত্র গুলির মধ্যে ৪টি প্রধান গবেষণা বৈজ্ঞানিক মহলে তোলপাড় সৃষ্টি করে । তার চারটি প্রধান গবেষণা ছিল –

১. আলোক তড়িৎ ক্রিয়া প্রতিপাদন ।

২. আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব আবিষ্কার ।

৩. ভর-শক্তি সমতা – বিখ্যাত E = mc2 সূত্র ।

৪. ব্রাউনীয় গতি – আণবিক তত্ত্বের সমর্থন ।

তার এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকে তাকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয় । কিছু বৈজ্ঞানিক তার গবেষণা পত্রকে সমর্থন করেন, আবার কিছু বৈজ্ঞানিক তার গবেষণাকে ভুল বলেন । তিনি সেই পেটেন্ট অফিসে কাজ করার সাথে সাথে তার অন্যান্য গবেষণামূলক কাজগুলি চালিয়ে যেতে থাকেন ।

পরবর্তীকালে ১৯০৯ সালে তিনি বার্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রভাষক পদে যুক্ত হন । পরে জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক পদের জন্য নাম জমা দেন । এর দুই বছর পর তিনি চেকোস্লোভাকিয়ার প্রাগের জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসাবে নির্বাচিত হন । এছাড়াও, তিনি ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির অধ্যাপক হয়েছিলেন ।

১৯১৩ সালে, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক এবং ওয়ালথার নর্নস্ট জুরিখ এসে আইনস্টাইনকে জার্মানির বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অধ্যাপক হওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন । ১৯২0 সালে, আইনস্টাইন হল্যান্ডের লেডেন বিশ্ববিদ্যালয়ে আজীবন সম্মানজনক অধ্যাপক নির্বাচিত হয়েছিলেন । এছাড়া আইনস্টাইন তার জীবনে শত বই এবং গবেষণা পত্র লিখেছিলেন, যা আজও বিজ্ঞানীদের নতুন দিশা দেখাতে সাহায্য করে।

আলবার্ট আইনস্টাইনের দাম্পত্য জীবন

আলবার্ট আইনস্টাইন তার জীবনকালে দুইবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন । আইনস্টাইন স্কুলে পড়াকালীন সময়ে তার বন্ধু মিলেভা মেরিকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকাই পরবর্তীকালে ১৯০৩ সালে তাকে বিয়ে করেন । বিয়ের পর তাদের দুটি সন্তান হয় । পরে আলবার্ট আইনস্টাইন এলসাকে ১৯১৯ সালে দ্বিতীয় বিবাহ করে । আলবার্ট আইনস্টাইনের প্রথম বিয়ে অপেক্ষা দ্বিতীয় বিয়েতে বেশি সুসম্পর্ক স্থাপন হয় ।

আরো পড়ুন

মাইকেল মধুসূদন দত্তের সংক্ষিপ্ত জীবনী
আলবার্ট আইনস্টাইনের আবিষ্কার

আলবার্ট আইনস্টাইন তার জীবনকালে একাধিক আবিষ্কার করেছিলেন ।যে কারণে তার নাম বিশ্বের বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের মধ্যে গণনা করা হয় । তার উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার গুলো আলোচনা করা হলো ।

১. আলোর কোয়ান্টাম থিওরি :  আলোর কোয়ান্টাম তত্ত্বটিতে আলবার্ট আইনস্টাইন আলোর সবচেয়ে ছোট আলোর তরঙ্গ ফোটন কণার খোঁজ করেন । তিনি এই তত্ত্বের মাধ্যমে ধাতব বস্তু থেকে ইলেকট্রন নির্গমনের পরীক্ষা করে দেখান । পরবর্তীতে ১৯০৫ সালে তিনি “ফটো ইলেকট্রিক ইফেক্ট” আবিষ্কার করেন । পরবর্তীকালে এই তত্ত্বটিকে কাজে লাগিয়ে টেলিভিশন এবং অন্যান্য ভিজ্যুয়াল ডিভাইস সৃষ্টি করা হয় ।

২. E = MC বর্গ : আইনস্টাইন ভর এবং শক্তির মধ্যে একটি সমীকরণ প্রমাণ করেন। আজ একে পারমাণবিক শক্তি বলা হয় ।

৩. বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব ( Special theory of relativity) : ১৯০৫ সালে আলবার্ট আইনস্টাইন আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্বটি প্রকাশ করেন । তিনি এই তত্ত্বের মাধ্যমে সময় এবং গতির মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করেন । এবং তিনি গাণিতিক ক্যালকুলেশন এর মাধ্যমে প্রমাণ করেন যে এই মহাবিশ্বে আলোর গতি স্থির ।

৪. সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্ব (General theory of relativity) : বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্বটি ব্যাখ্যা করার পর, ১৯১৫ সালে আইনস্টাইন সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্বটি ব্যাখা করেন । এই তথ্যের মাধ্যমে বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব ও নিউটনের মধ্যাকর্ষণ শক্তির ব্যাপারটি সহজ ভাবে বুঝতে সাহায্য করে ।

আরো পড়ুন

শহীদুল্লা কায়সারের সংক্ষিপ্ত জীবনী
আলবার্ট আইনস্টাইনের অন্যান্য আবিষ্কার

আজ প্রায় সকলেই রেফ্রিরেজেটার বা ফ্রিজ এর ব্যবহার করে থাকেন । রেফ্রিরেজেটার তৈরির প্রযুক্তিটি আবিষ্কার করতে আলবার্ট আইনস্টাইন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি অ্যামোনিয়া, পানি এবং বিটুইন এর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে একটি রেফ্রিরেজেটার এর আবিষ্কার করেন ।

আকাশ নীল কেন? এই প্রশ্নটি মাঝে মধ্যে সবার মনে আসে। কিন্তু আলবার্ট আইনস্টাইন বৈজ্ঞানিক ভিক্তিতে এই প্রশ্নের উত্তর সবার সামনে তুলে ধরেন ।

আইনস্টাইনের বিদেশ ভ্রমণ

আইনস্টাইনকে তার জীবনকালে একাধিক দেশের বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ করা হয় ।তিনি ১৯২১ সালে আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে সফরে যান । সেখানে কলম্বিয়া এবং প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বক্তব্য দেন। এরপর আইনস্টাইন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন । ইউরোপ সফরে তিনি ইংল্যান্ডের একাধিক বৈজ্ঞানিক এর সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং কিংস বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার শিক্ষার্থীদের সামনে তার বক্তব্য প্রদান করেন । আইনস্টাইন ১৯২২ সালে এশিয়া মহাদেশের জাপান, সিঙ্গাপুর, ইত্যাদি দেশ ভ্রমণ করেন ।

আইনস্টাইনের উপাধি ও সম্মাননা

আলবার্ট আইনস্টাইনকে তার বৈজ্ঞানিক কাজ কর্মের জন্য অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা দেওয়া হয় । এমনকি পদার্থ বিজ্ঞান মহলে বিজ্ঞানীদের ভোটের মাধ্যমে তাকে সেরা পদার্থবিজ্ঞানী উপাধি দেওয়া হয়

তার প্রাপ্ত পুরস্কার ও সম্মাননাগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো :

  • ১৯২১ সালে বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনকে পদার্থবিদ্যায় অতুলনীয় কাজের জন্য সর্বোচ সম্মানজনক পুরুস্কার “নোবেল” দিয়ে সম্মানিত করা হয় ।
  • সেই একই বছর আইনস্টাইন রয়্যাল সোসাইটির বিদেশি সদস্য নির্বাচিত হন ।
  • ১৯১৬ সালে জার্মানির ফিজিক্যাল সোসাইটি আলবার্ট আইনস্টাইনকে সভাপতি পদের জন্য নির্বাচিত করে ।
  • ১৯২৫ সালে আইনস্টাইনকে রয়েল সোসাইটির পক্ষ থেকে “কপলি পদক” প্রদান করা হয় ।
  • পরবর্তীকালে ১৯৯৯ সালে আমেরিকার একটি বিখ্যাত ইংরেজি ম্যগাজিন “টাইমস”এ আইনস্টাইনকে  “শতাব্দীর সেরা ব্যাক্তির ” আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।
  • পরবর্তীতে আলবার্ট আইনস্টাইন জার্মানি ত্যাগ করে আমেরিকার নিউ জার্সিতে বসবাস শুরু করেন । আইনস্টাইন সেখানে প্রিস্টন কলেজে কর্মরত ছিলেন ।
আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু

১৯৫৫ সালের ১৮ এপ্রিল ৭৫ বছর বয়সে এই মহান বিজ্ঞানী পরলোক গমন করেন ।

Related posts

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত জীবনী

jibondharaa

জীবনানন্দ দাশের সংক্ষিপ্ত জীবনী

jibondharaa

বেগম সুফিয়া কামালের সংক্ষিপ্ত জীবনী

jibondharaa

Leave a Comment