কোষ্ঠকাঠিন্য ছোট-বড় সবার জন্য খুবই বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক একটি সমস্যা । এটি এমন একটি অবস্থাযখন খাদ্যনালী , পাকস্থলী , ক্ষুদ্রান্ত্র , বৃহদান্ত্রের স্বাভাবিক নড়াচড়া কমে যায় । ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় যেমন – পেটফাঁপা , বমি বমি ভাব , পেট ব্যাথা ইত্যাদি । এসময় দেখা যায় টয়লেটে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকে ও পেট পরিষ্কার হয় না ।
কোষ্ঠকাঠিন্যের বিশেষ কিছু কারন রয়েছে যেগুলো জানা জরুরী
কোষ্ঠকাঠিন্যর কারন :
- খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ।
- অলস জীবন যাপন করা ।
- পর্যাপ্ত পানি পান না করা ।
- আঁশজাতীয় খাবার কম খাওয়া ।
- পরিপাকতন্ত্রের নার্ভ ও মাংসপেশিতে সমস্যা হওয়া ।
- কিছু ওষুধ (নিয়মিত আইবুপ্রোফেন জাতীয় ব্যাথানাশক ওষুধ সেবন ,আয়রণ বা ক্যালসিয়াম বড়ি ) নিয়মিত সেবন ।
- গর্ভকালীন সময়ে ।
- মানসিক চাপ ।
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে যা খাবেন :
১ । প্রচুর পানি ও তরল খাবার :
প্রতিদিন প্রচুর পানি ও তরল এবং যথেষ্ট আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে । পানি ছাড়া কোন খাবারই সঠিক ভাবে হজম হয় না । খাবার সঠিক ভাবে হজম না হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দেয় ।
২ । শাকসবজি :
পাতাসমৃদ্ধ সবুজ শাকসবজি যেমন- পালংশাক এবং কুমড়ায় প্রচুর পুষ্টি ও আঁশ , ম্যাগনেশিয়াম কোলন সঙ্কোচন করে এবং পটাশিয়াম অন্ত্রের মাংস সঙ্কোচনে সাহায্য করে ।
৩ । কলা :
পাকা কলায় প্রচুর আঁশ (পেকটিন) আছে , যা কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রতিক্রিয়াকে স্বাভাবিক করে । কলার আঁশ মল বৃদ্ধি করে । ফলে মল সহজেই বের হয়ে যায় । তবে কাঁচা কলা কোষ্ঠকাঠিন্য বৃদ্ধি করে ।
৪ । বেল :
বেল বা বেলের সরবত কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে খুবই উপকারী ভূমিকা পালন করে । প্রতিদিন দুইবার করে বেলের সরবত পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে ।
আরো পড়ুন হজমশক্তি বাড়ানোর উপায় : কি খেলে হজমশক্তি বাড়ে
৫ । জাম :
বিভিন্ন ধরনের জাম যেমন- দেশী জাম , মালবেরি , স্ট্রবেরি ইত্যাদিতে প্রচুর আঁশ আছে । আঁশযুক্ত ফল মলের পরিমান বৃদ্ধি করে এবং সহজেই পরিপাকতন্ত্র দিয়ে নিচে নেমে যায় ।
৬ । কমলা :
কমলার মধ্যে মল নরমকারী ভিটামিন সি আছে । আঁশযুক্ত হওয়াই মলের পরিমান বাড়ায় এবং ন্যানিজেনিন (ফ্লাভানয়েড) আছে , যা ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করে ।
৭ । বাদাম :
বাদামে রয়েছে হৃদবান্ধব চর্বি , আমিষ ও আঁশ । এতে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম আছে , যা অন্ত্রের কাজে সাহায্য করে ।পাকস্থলীর এসিড দূর করে মলকে অন্ত্রের মধ্যে নড়াচড়ায় সহায়তা করে ।
৮ । গমের খোসা :
গমের খোসা কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে এবং হজমে উন্নতি করে ।গমের খোসাতে রয়েছে প্রচুর আঁশ ।
আরো পড়ুন চিরতার ঔষধী গুণ ।। চিরতা কেন খাবেন