থাইরয়েড গ্রন্থি যদি প্রয়োজনের বেশি হরমোন উৎপাদন করে ফেলে তবে তাকে হাইপার-থাইরয়েড বা হাইপারথাইরয়ডিজম(Hyperthyroidism) বলে ।
তিনটি গ্রন্থির মিলিত প্রচেষ্টায় হরমোন নির্গমণ কাজ সম্পন্ন হয় । মস্তিস্কের পিটুইটারি গ্রন্থি এবং হাইপোথ্যালামাস গ্রন্থি সেই সাথে থাইরয়েড গ্রন্থি । এই তিনটি গ্রন্থি হরমোন উৎপাদনের জন্য মিলিতভাবে কাজ করে । এখন উক্ত তিনটি গ্রন্থির যে কোন একটি বা একাধিক গ্রন্থি যদি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কাজ করে ফেলে তখন ফল স্বরুপ যতটুকু হরমোন দরকার তার চেয়ে বেশি হরমোন উৎপন্ন হয় । আর তখনই বিপত্তি বাঁধে । যেটাকে হাইপারথাইরয়ডিজম বলা হয় ।
হাইপারথাইরয়ডিজম এর লক্ষণ সমুহ
- অস্থিরতা বেড়ে যাওয়া ।
- ঠিকমত ঘুম না হওয়া ।
- গরম সহ্য না হওয়া ।
- শরীর অতিরিক্ত ঘামানো ।
- ত্বক পাতলা হয়ে যাওয়া ।
- হজমে সমস্যা হওয়া ।
- চুল দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া ।
- ওজন কমে যাওয়া ।
- ডায়রিয়ার প্রবণতা এবং বমি বমি ভাব ।
- বাহু এবং উরুর পেশী দুর্বল হয়ে যাওয়া ।
- গলগণ্ড বা গয়টার তৈরী হওয়া ।
আরো পড়ুন হাইপো – থাইরয়েড কি : লক্ষণ ও চিকিৎসা ।
চিকিৎসা
হাইপারথাইরয়ডিজম এর তিন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে । আমরা সংক্ষেপে সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করবো ।
১ । অ্যান্টিথাইরয়েড হরমোন :
এটি মুখে খাওয়ার ওষধ পদ্ধতি । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডাক্তাররা এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করে থাকেন । তবে বিষয়টি নির্ভর করে রোগির বয়স ও সমস্যার ব্যপ্তির উপর ।
২ । সার্জারি :
হাইপারথাইরয়ডিজম সমস্যা যদি ওষধে ভাল হওয়ার পর্যায়ে না থাকে , তবে ডাক্তার সার্জারি করে সমস্যাগ্রস্থ থাইরয়েড অপসারণ করে থাকেন । তবে এটিও নির্ভর করে রোগির বয়স ও সমস্যার ব্যাপ্তির ওপর ।
৩ । রেডিও থেরাপি :
এই পর্যায়ে রেডিও আয়োডিন থেরাপি দিয়ে সমস্যাগ্রস্থ থাইরয়েড অ্যাবলেশন করা হয় ।
আরো পড়ুন রক্তস্বল্পতার লক্ষণ, কারণ ও প্রতিকার ক্যান্সারের ১০ টি সতর্কীকরণ লক্ষণ